শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫

"ইনজুরিতে সাকিব"

ad300
Advertisement

ডান পায়ের শিন বোনের 'স্ট্রেস রিঅ্যাকশন' এমন চরম আকার ধারণ করেছিল যে দেড় মাস পুরো বিশ্রামে থেকেও কোনো সুফল পাননি সাকিব আল হাসান। এই সমস্যায় ২০১২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এবং একমাত্র টি-টোয়েন্টি মিস করা অলরাউন্ডারকে শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করাতে যেতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতেও। সেটি করিয়ে এসে গত কয়েক বছর নির্বিঘ্নেই খেলে গেছেন। কিন্তু গত অক্টোবর থেকে টানা খেলার ধকল আবার ফিরিয়ে এনেছে সেই পুরনো সমস্যা। তাও আবার এমন সময়ে যখন সামনেই একের পর এক সিরিজ। পাকিস্তান সিরিজ শেষেই ভারতে গিয়ে আইপিএল খেলে ফেরা সাকিবের তাই এখন বিশ্রাম না নিলেই নয়। ভারত সিরিজ সামনে রেখে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে শুরু হওয়া বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি শিবিরের দ্বিতীয় দিন শেষে এ জন্যই সাত দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। 

যে কারণে আড়াই বছর পর (২০১২-র ২ নভেম্বর খুলনার হয়ে জাতীয় লিগে খেলতে নেমেছিলেন রংপুরের বিপক্ষে) ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলতে নামার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে না। ২৪ মে থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চলতি আসরের তৃতীয় ও শেষ রাউন্ডের দুটো ম্যাচ। এর মধ্যে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল ও ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের লড়াইটা শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচও। কিন্তু তাতে সাকিবের না খেলার বিষয়টি কাল নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের কোচ খালেদ মাহমুদ, 'এই ম্যাচে আমাদের হয়ে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস খেলছে। তবে শিন বোনের ব্যথার জন্য বিশ্রাম চাওয়ায় সাকিবকে আমরা পাচ্ছি না।' ডান হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়া তামিম ইকবালের পুনর্বাসন চলছে বলে তাঁর বিসিএলের শেষ রাউন্ডে না খেলার বিষয়টি নিশ্চিত ছিল আগে থেকেই। এবার তাঁর সঙ্গে শুধু সাকিবই নন, যুক্ত হয়েছেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ডান হাতের অনামিকায় পাওয়া চোট এখনো রয়ে গেছে। তাই ঠাসা আন্তর্জাতিক সূচি সামনে রেখে বিসিএলের ম্যাচ খেলা থেকে নিষ্কৃতি মিলেছে এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানেরও।
সাকিবের মতো টানা খেলার ধকল মুশফিকের ওপর দিয়েও তো কম যায়নি। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছ থেকে বাংলাদেশ দলের 'রান মেশিন' আখ্যা পাওয়া মুশফিককে যে উইকেটও আগলাতে হয়। টেস্ট ম্যাচে লম্বা সময় ধরে উইকেটকিপিংয়ের ক্লান্তিটা আরো বেশি। ওদিকে দীর্ঘ পরিসরের ম্যাচে ক্লান্তিহীন হাত ঘুরিয়ে যেতে হয় বোলার সাকিবকেও। দলের অন্যদের তুলনায় ম্যাচও খেলেন তিনি বেশি। সেই অক্টোবর-নভেম্বরের জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে শুরু। এরপর খেলেছেন ঢাকার প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। বিশ্বকাপ সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই ঘরের মাঠে নেমে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এর আগে-পরে দুই দফায় আইপিএল খেলে আসা সাকিবের জন্য সামনের ব্যস্ত সূচিও অপেক্ষা করে আছে। এরই মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা শিন বোনের পুরনো সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে আপাতত একটি উপায়ই দেখেন বাংলাদেশ দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম, 'বিশ্রামের কোনো বিকল্প নেই। বিশ্রাম নিলে যদি ব্যথাটা কমে, তাহলে ভালো।'
এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলারও উপায় নেই কারণ, 'শিন বোনের যে জায়গাটায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল, এখন ব্যথাটা হচ্ছে এর ঠিক নিচেই। বিশ্রাম নিয়ে কমলেও সামনে অনেকগুলো সিরিজ থাকায় সেটি ফিরে আসার ঝুঁকিও আছে। আর ব্যথা যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে আবারও অস্ত্রোপচার লাগতে পারে সাকিবের।' এই বছর লাগাতার আন্তর্জাতিক সূচির কারণে সেই শঙ্কাও আছে যথেষ্টই। বিশেষ করে সাকিবকে যেখানে দলের ভার একটু বেশিই বইতে হয়। বায়েজিদও বললেন, 'কার লোড কী রকম, তার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। সাকিব অলরাউন্ডার হওয়ায় ওর ওপর স্ট্রেসও (চাপ) পড়ে বেশি। যা আরো বেশি টেস্ট ম্যাচে। তা ছাড়া সাকিব অন্যদের চেয়ে ম্যাচও বেশি খেলে। এই বছরের সিরিজগুলো খেলতে খেলতেই বোঝা যাবে ওর শিন বোনের এবারের সমস্যাটি আসলে কতটা গুরুতর।' আপাতত ভারত সিরিজের জন্য ব্যথামুক্ত হতে সাত দিনের বিশ্রাম পেয়েছেন সাকিব। তবে একা নন, ইনজুরি ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বিসিএলে খেলছেন না তামিম ও মুশফিকও। আর হ্যাঁ, ইনজুরি বিসিএল খেলতে দিচ্ছে না পেসার রুবেল হোসেনকেও। ব্যস্ত সূচির আগে ইনজুরি শঙ্কা বেশ ভালোই চোখ রাঙাচ্ছে বাংলাদেশক
Collected by kalerkantho
Share This
Previous Post
Next Post

Pellentesque vitae lectus in mauris sollicitudin ornare sit amet eget ligula. Donec pharetra, arcu eu consectetur semper, est nulla sodales risus, vel efficitur orci justo quis tellus. Phasellus sit amet est pharetra

0 Comment:

আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখককে ভালো কিছু লিখার অনুপ্ররেনা যোগাই তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না । তবে বন্ধুরা এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করবেন না যার ফলে লেখকের মনে আঘাত হানে ! কারণ একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপ্ররেনা জাগাই !!