মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

৮টি কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দিবে ইসবগুলের ভুষি

বগুলের ভুষি মানব দেহের জন্য অনেক উপকারি। ইসুবগুলের ভুষি যে সব রোগের দূরীকরণে সাহায্য করে তার মধ্যে আছে: কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে, ডায়রিয়া প্রতিরোধে, অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে, ওজন কমাতে, হজমক্রিয়ার উন্নতিতে, হৃদস্বাস্থ্যের সুস্থতায়, হৃদস্বাস্থ্যের সুস্থতায়, পাইলস প্রতিরোধে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

ইসবগুল বা psyllium husk বাংলাদেশ, ভারত সহ অনেক দেশেই এটি বেশ পরিচিত।এটি আভ্যন্তরীণ পাচন তন্ত্রের সমস্যার ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিকারের জন্য বেশ উপকারী।তবে এই সাদা ভুষিটির উপকারিতা শুধুমাত্র হজমতন্ত্রের মাঝেই সীমিত নয়। এর অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে। চলুন তাহলে একে একে জেনে নিই ইসবগুলের উপকারিতা-

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে

ইসবগুলে থাকে কিছু অদ্রবণীয় ও দ্রবণীয় খাদ্যআঁশের চমৎকার সংমিশ্রণ যা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য খুব ভালো ঘরোয়া উপায় হিসেবে কাজ করে।এটি পাকস্থলীতে গিয়ে ফুলে ভেতরের সব বর্জ্য পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিকভাবে জলগ্রাহী হওয়ার কারনে পরিপাকতন্ত্র থেকে পানি গ্রহণ করে মলের ঘনত্বকে বাড়িয়ে দিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ২ চামচ ইসবগুল এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে পান করে নিন।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে

যদিও শুনলে অবাক লাগে, ইসবগুল একই সাথে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুটিই প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ডায়রিয়া প্রতিরোধে ইসবগুল দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।কারন দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন সারায় এবং ইসবগুল তরল মলকে শক্ত করতে সাহায্য করে খুব কম সময়ের মাঝে ডায়রিয়া ভালো করতে পারে।
ডায়রিয়া প্রতিরোধে ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ টাটকা দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাবার পর খেতে হবে। এভাবে দিনে ২ বার খেলে বেশ কার্যকরী ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

অ্যাসিডিটি প্রতিরোধে

বেশির ভাগ মানুষেরই অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে আর ইসবগুল হতে পারে এই অবস্থার ঘরোয়া প্রতিকার।ইসগুল খেলে তা পাকস্থলীর ভেতরের দেয়ালে একটা প্রতিরক্ষা মূলক স্তর তৈরি করে যা অ্যাসিডিটির বার্ন থেকে পাকস্থলীকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি সঠিক হজমের জন্য এবং পাকস্থলীর বিভিন্ন এসিড নিঃসরণে সাহায্য করে।
ইসবগুল অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সময়টা কমিয়ে আনে। প্রতিবার খাবার পর ২ চামচ ইসবগুল আধা গ্লাস ঠাণ্ডা দুধে মিশিয়ে পান করুন। এটি পাকস্থলীতে অত্যাধিক এসিড উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমায়।

ওজন কমাতে

ওজন কমানোর উদ্দেশ্যকে সফল করতে ইসবগুল হচ্ছে উত্তম হাতিয়ার। এটি খেলে বেশ লম্বা সময় পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয় এবং ফ্যাটি খাবার খাওয়ার ইচ্ছাকে কমায়। এছাড়াও ইসবগুল কোলন পরিষ্কারক হিসেবেও পরিচিত।এটি পাকস্থলী থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়াকে আরো বেশি কার্যকর করে স্বাস্থ্যবান থাকতে সাহায্য করে।
ভেষজ শাস্ত্র অনুযায়ী এটি পাকস্থলীর দেয়ালে যেসব বর্জ্য পদার্থ থাকে তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে যা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যাও দূর করে। কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুল ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে ভাত খাবার ঠিক আগে খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলেও তা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

হজমক্রিয়ার উন্নতিতে

দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্যআঁশে ভরপুর ইসবগুল হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করে।এটি শুধু পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেই সাহায্য করে না এটি পাকস্থলীর ভেতরের খাবারের চলাচলেও এবং পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনেও সাহায্য করে।তাই হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে নিয়মিতভাবে ইসবগুল খেতে পারেন।
এছাড়া মাঠা বা ঘোলের সাথে ইসবগুল মিশিয়ে খেতে পারেন ভাত খাওয়ার পরপরই। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে তা হল ইসবগুল মিশিয়ে রেখে না দিয়ে সাথে সাথেই খেয়ে ফেলতে হবে।

হৃদস্বাস্থ্যের সুস্থতায়

ইসবগুলে থাকা খাদ্যআঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে যা আমাদেরকে হৃদরোগের থেকে সুরক্ষিত করে।হৃদরোগের সুস্থতায় ইসবগুল সাহায্য করে কারন এটি উচ্চ আঁশ সমৃদ্ধ এবং কম ক্যালরিযুক্ত। ডাক্তাররা সব সময় হৃদরোগ প্রতিরোধে এমন খাবারের কথাই বলে থাকেন।
এটি পাকস্থলীর দেয়ালে একটা পাতলা স্তরের সৃষ্টি করে যার ফলে তা খাদ্য হতে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয় বিশেষ করে রক্তের সিরাম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়াও এটি রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয় যা থাকলে ধমনীতে ব্লকের সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে তা হৃদরোগ এবং কোরোনারী হার্ট ডিজিজ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ভাবে খাবারের ঠিক পরে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে ইসবগুল খান।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে

ইসবগুল যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য খুবই ভালো। এটি পাকস্থলীতে যখন জেলির মত একটি পদার্থে রূপ নেয় তখন তা গ্লুকোজের ভাঙ্গন ও শোষণের গতিকে ধীর করে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকে। খাবার পর নিয়মিত ভাবে দুধ বা পানির সাথে ইসবগুল মিশিয়ে পান করুন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে।তবে দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাবেন না এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

পাইলস প্রতিরোধে

প্রাকৃতিক ভাবে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্যআঁশে ভরপুর ইসবগুল যারা পায়ুপথে ফাটল এবং পাইলসের মত বেদনাদায়ক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উত্তম।
এটা শুধু পেট পরিষ্কার করতেই সাহায্য করেনা মলকে নরম করতে সাহায্য করে অন্ত্রের পানিকে শোষণ করার মাধ্যমে এবং ব্যাথামুক্ত অবস্থায় তা দেহ থেকে বের হতেও সাহায্য করে। এটি প্রদাহের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে। ২ চামচ ইসবগুল কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ঘুমাতে যাবার আগে পান করুন।

সতর্কতা

এটি শুধুমাত্র উল্লেখিত সমস্যা গুলোর ঘরোয়া সমাধান। যদি খুব বেশি গুরুতর অবস্থা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ইসবগুল কেনার সময় দেখে নিন

ইসবগুল আমাদের দেশে বাজার থেকে শুরু করে সুপার মার্কেট সব জায়গাতেই বেশ সহজলভ্য। তবে কেনার আগে কিছু ব্যাপার অবশ্যই খেয়াল রাখবেন-
  • – প্যাকেটজাত ইসবগুল কিনুন
  • – কখনোই খোলা ইসবগুল কিনবেন না সেগুলো নষ্ট ও ভেজাল থাকতে পারে যার ফলে এটি খেয়ে হয়তো ভালো ফলাফল নাও পেতে পারেন।
  • – আজকাল প্যাকেটজাত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম স্বাদের ইসবগুল পাওয়া যায়। তবে ভালো ফলাফল পেতে গেলে এসব কৃত্রিম স্বাদের ইসবগুল না খেয়ে সাধারণ ইসবগুল খান।
  • – বিভিন্ন দোকানে সাধারন ইসবগুলে কৃত্রিম স্বাদ ও রঙ যোগ করে বিশেষ কার্যকারিতার কথা বলে তা বিক্রয় করা হয় যা মূলত স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। তাই সাধারণ ইসবগুল খাওয়াই সবচেয়ে উত্তম।

রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৫

কালো ঠোঁটকে সুন্দর করুন, ফিরে পাবেন গোলাপি আভা।

কাল ঠোট একটি সাধারন সমস্যা, যা প্রচুর মানুষ কে প্রভাবিত করে। নারীরা তাদের রূপ এবং মুখের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে খুবই সচেতন। তারা তাদের ঠোঁটে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে যা তাদের চেহারাকে উজ্জ্বল এবং আরও সুন্দর করে তুলে। তবে বেশির ভাগ  পণ্যই অস্থায়ী ফলাফল এবং দীর্ঘস্থায়ী পার্শ্ব  প্রতিক্রিয়া প্রদান করে। কিছু প্রসাধনী যেমন লিপস্টিক ও লিপ গ্লোস ঠোঁটকে শুষ্ক এবং গাঢ় করে তোলে। সুন্দর ঠোটের জন্য এইসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে পরিত্রান পেতে সবচেয়ে ভাল উপায় বাড়িতে প্রতিকারের চেষ্টা করা। আমরা এখন কালো ঠোঁট এর জন্য সেরা ভেষজ প্রতিকার সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব।
কিভাবে কালো ঠোঁট দূর করা যায়
 মধু লেবুর
মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করুন এবং আপনার ফ্রিজ মধ্যে এটি ১০ মিনিট  রেখে দিন। এবার আপনার ঠোঁটে এই মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন এবং এভাবেই এক ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। এক টি ঘণ্টা পরে আপনার ঠোট ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার আপনি এই প্রতিকারটি ব্যাবহার করবেন। মনে রাখবেন, লেবু চামড়ার স্বাভাবিক রং কমাতে পারে। তাছাড়া মধু চামড়ার পুষ্টিহীনতার অভাব দূর করে এবং ঠোটকে আরও স্বাস্থ্যসম্মত করে তুলে। মধু ঠোটকে আগের চেয়েও বেশী গোলাপী করতে সাহায্য করে।
The Ataturk Times
 গ্লিসারিন
শুকনো ঠোঁট কালো ঠোঁটের পিছনে অন্যতম কারন গ্লিসারিনের অভাব। গ্লিসারিন আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। তাই আপনার ঠোঁটে গ্লিসারিন প্রয়োগ করুন।
পানি
পানি এবং ডিহাইড্রেসনের  অভাবে কালো এবং শুষ্ক ঠোঁট হয়। বেশী বশি পানি পান করে শরীরকে আরও সতেজ রাখা উচিৎ। পানি শুষ্ক ঠোঁটের অন্যতম প্রতিকার।
 বীটপালং
বীটরুট হচ্ছে সবচেয়ে ভাল এবং কালো ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধিতি। ৫ মিনিটের জন্য আপনার ঠোঁটে এক টুকরা ধোয়া বীট গাছ রুট লাগান। কিছু সময়ের জন্য এটি রেখে দিন এবং একটু পরেই দেখবেন আপনার ঠোট সব রস শোষণ করে নিবে। এর ফলে আপনার ঠোঁটের রং আরও গোলাপী হবে।
৫ ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকারক এমন পণ্য এড়িয়ে চলুন
সস্তা এবং নিম্ন মানের ঠোঁটের পণ্য ব্যবহার করবেন না। এসব পণ্য আপনার ঠোঁটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করবে এবং আপনার ঠোটের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন করে দেবে। সব সময় ভেষজ পণ্য ব্যবহার করুন। আপনার ঠোঁটের ট্যানিং এবং ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে প্রাকৃতিক ফলের জুস পান করুন।
 বাদামের তৈল
ঠোঁটের অস্বাভাবিক রং হ্রাস করার জন্য আপনার ঠোঁট বাদামের তেল ব্যবহার করুন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।
 শসার রস
শসার রস ঠোঁটের স্বাভাবিক রং পেতে এবং আপনার ঠোঁটের রং এর উন্নতিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
৮ লেবু
লেবু প্রাকৃতিক পরিষ্কারক এজেন্ট হিসাবে কাজ কর। এটি ঐতিহ্যগতভাবে ত্বকের গাঢ় দাগ এবং ত্বককে মসৃণ করতে ব্যবহার করা হয়। কালো ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে কার্যকর ভেষজ প্রতিকারের একক হিসাবে এটি ব্যবহার করা হয়।
  • ঠোঁটে লেবুর রস প্রয়োগ করার ফলে আপনার ঠোঁট হালকা হবে। ভাল ফলের জন্য কয়েক মাস এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
  • এক টুকরা লেবু আপনার ঠোঁটে ঘসা-মাজা করতে পারেন। এটি আরো কার্যকর হবে যদি লেবুতে কিছু চিনি ছিটিয়ে দেন। ২ থেকে ৩ সপ্তাহের জন্য এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
  • এছাড়াও আপনি আপনার ঠোঁটকে আরও আকর্ষণী এবং উন্নত করার জন্য লেবুর রস, (প্রতিটি টেবিল চামচ 1/2) মধু এবং গ্লিসারিন দিয়ে ভাল একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
৯ গোলাপ
গোলাপ আপনার ত্বককে শীতল এবং ময়শ্চারাইজিং করতে সাহায্য করে। এটি আপনার ঠোঁটের রঙকেও উন্নত করে।
  • কিছু পানির মধ্যে গোলাপের পাপড়ি নিন। সাথে অল্প পরিমাণ মধু যোগ করুন। এবার টা আপনার ঠোঁটে প্রয়োগ করুন। প্রতিদিন তিনবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে অবশ্যই আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।
  • গোলাপের পাপড়ির পেষ্ট, মধু এবং মাখন (1 tbsp প্রতিটি)দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে 2 থেকে 3 বার আপনার ঠোঁট ব্যবহার করুন।
  • কাঁচা দুধে গোলাপ কিছু পাপড়ি ভিজিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর এই পাপড়ির পেষ্ট,১/২ tbsp মধু এবং কিছু জাফরান নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে তা আপনার ঠোঁটের উপর প্রয়োগ করুন এবং এটি 15 মিনিটের জন্য রেখে দিন। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
১০  অলিভ অয়েল
জলপাই তেল আপনার ঠোঁটকে নরম এবং ময়শ্চারাইজিং করতে সাহায্য করে। এটি আপনার ঠোঁটকে সুন্দর করতে পারে যাতে অপরিহার্য পুষ্টি প্রচুর রয়েছে।
  • প্রতি রাতে জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে আপনার ঠোঁট ম্যাসেজ করুন।
  • জলপাই তেলের সাথে চিনি মিশিয়ে একটি প্রাকতিক মিশ্রণ তৈরি করে কয়েক মাসের জন্য প্রতি সপ্তাহে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন। এটি আপনার ঠোটকে আরও পাতলা বানাবে।
১১  চিনি
চিনি আপনার ঠোঁট থেকে সব মৃত ত্বক কোষ অপসারণে সাহায্য করতে পারে। যা একটি ভাল  উপকরন।
  • দস্তার চিনি (3 টেবিল চামচ) এবং মাখন (2 tbsp) এর একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। আপনার ঠোঁটে আলতো করে ব্যবহার করুন এবং. সপ্তাহের একবার করে তিন মাস ব্যবহার করলে অবশ্যই ভাল প্রতিকার পাবেন।
  • মধু (1 tbsp) এবং বাদাম তেলের (1/2 টেবিল চামচ) সঙ্গে চিনি (1 tbsp) মিশিয়ে একটি ভাল মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। এই মিশ্রণটি ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁট নরম এবং পাতলা হবে। প্রতি সপ্তাহে এই একই পদ্ধতি অনুসরন করুন।
১২ মধু
মধু আপনার ঠোঁটকে আর্দ্র এবং গোলাপী করতে পারে।
  • প্রতি রাতে আপনার ঠোঁটে সামান্য পরিমাণ মধু লাগান। এরপর কিছু গরম পানি ব্যবহার করে সকালে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি আপনার ঠোঁটের রঙ হালকা করবে।
  • ময়দা, মধু এবং দইয়ের একটি মিশ্রণ (প্রতিটি ½ টেবিল চামচ)তৈরি করুন এবং আপনার ঠোঁটের উপর এই মিশ্রণ প্রয়োগ করে আধা ঘন্টার জন্য রেখে দিন। তারপর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে এটি নিয়মিত অভ্যাস করুন।
১৩  মধু এবং বাদামের তেল
মধু (1 tbsp) এবং বাদামের তেল (1 tbsp) মিশিয়ে তা আপনার ঠোঁটে লাগান এবং আধ ঘন্টা পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে এটি দিনে তিনবার ব্যবহার করুন।
১৪  ক্রিম এবং গোলাপের পাপড়ি
কিছু গোলাপের পাপড়ি পিষে একটি সূক্ষ্ম পেস্ট করা বানান। এই পেস্টে দুধের ক্রিম এবং মধু যোগ করে তা আপনার ঠোঁট প্রয়োগ করুন। ২০ মিনিটের এভাবে রাখার পরে পানি দিয়ে আপনার ঠোঁট ধোয়ে ফেলুন।
এই পদ্ধতিটি আপনার ঠোঁটকে আরও পাতলা এবং লাল করবে এবং আঁশ উঠাতে সাহায্য করবে।
১৫ পাতি লেবু এবং হলুদ
লেবু রস এবং হলুদ গুঁড়া দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন এবং আপনার ঠোঁট এটি প্রয়োগ করুন।এবার উষ্ণ পানি দিয়ে প্রায় ১০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
১৬  আরও টিপস কালো ঠোঁটের জন্য
  • সর্বদা আলতো করে ঠোঁট ঘোষবেন। কারন জোরে জোরে ঠোঁট ঘোষলে চামড়ার ক্ষতি হতে পারে।
  • যতোটুকু পারেন ঠোঁটে glosses এবং lipsticks এড়িয়ে চলুন।
  • রাতে বিছানায় যাবার আগে আপনার ঠোঁট থেকে সব প্রসাধনী ধুয়ে ফেলুন।

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

২মিনিটে ঘুমাতে চান? অবশ্যই পড়ুন

প্রতিদিনই তাড়াতাড়ি
ঘুমিয়ে পড়ার ইচ্ছে
থাকলেও কিছুতেই সময়মত
ঘুমাতে যাওয়া হয়না।
কোনো না কোনো কারণে
দেরী হয়েই যায়। আবার
সময়মত ঘুমানোর জন্য
বিছানায় গেলেও এপাশ
ওপাশ করে ঘুম আসে না।
ভালো ঘুমের জন্য কী করা
উচিত তাহলে? ঘুম না আসা
খুবই যন্ত্রণাকর একটি
ব্যাপার। বিছানায় শুয়ে
এপাশ ওপাশ করা এবং ঘড়ির
দিকে তাকিয়ে রাত পার
করার যন্ত্রণা যারা
ভুক্তভুগি তারাই বলতে
পারবেন। ঘুম না হওয়ার
সবচাইতে প্রথম ও প্রধান
কারণ হচ্ছে মন অস্থির
থাকা। আর মন অস্থির হয়ে
থাকার অন্যতম কারণ হচ্ছে
মানসিক চাপ। মানসিক চাপ
হওয়ার কারণে ঘুম আসতে
চায় না একেবারেই।

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

আগুনে পুড়ে গেলে যা করতে হবে???

আগুন! ভয়াবহ একটি বিষয় যখন মানুষ আগুনে পুড়ে যায়। আগুনে পোড়া কিংবা শরীরে আগুন লেগে গেলে তাৎক্ষণিক যা যা আপনার করণীয় তাই নিয়েই দি ঢাকা টাইমসের আজকের আয়োজন।

যেকোনো সময়ে আপনাকে হয়তো আগুনের মোকাবেলা করতে হতে পারে, বিভিন্ন কারণে আগুন লাগতে পারে, আগুন সাধারন অসাবধান থাকার কারণেই বেশি হয় এছাড়াও আমাদের আরেক প্রতিবেদনে আগুন আগা এবং এর জন্য করনীয় বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে, আজ যদি আপনার আশেপাশে কারোর গায়ে আগুন লেগে যায় তখন তাৎক্ষণিক আপনার যা যা করনীয় যা নিচে বর্ণনা করা হল।

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

জেনে নিই কোন ভিটামিনের কি কাজ?

ভিটামিন ‘এ’
লিভার ও যকৃত খেলে রাতকানা
রোগ সারে। এটা খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০
অব্দের প্রাচীন মিশরীয় কথা।
আসলে লিভার ও যকৃতে থাকে
ভিটামিন ‘এ’ যা কয়েকটি
ভিটামিনের সমষ্টি। ভিটামিন ‘এ’
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ও দেহের গঠনে
কাজ করে। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে
বাচ্চাদের রাতকানা অথবা অন্ধত্ব
দেখা দিতে পারে।
কোথায় পাবেন ভিটামিন ‘এ’ ?
ক) দুগ্ধজাত খাবারে।
খ) মাছ ও ডিমে।
গ) অরেঞ্জ চিগিমেনট বেটা
ক্যারোটিন জাতীয়
প্রোভিটামিন শরীরে ভিটামিন
‘এ’ তে পরিবর্তিত হতে পারে।

ঘ) গাজর ।
ভিটামিন ‘বি’
ভিটামিন ‘বি’
ভিটামিন ‘বি’ আসলে অনেক গুলো
‘বি’ ভিটামিনের সমন্বয়, যাকে
আমরা ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স
বলতে পারি। ‘বি’ গুলো হচ্ছে বি১,
বি২, বি৩,বি৪, বি৬, বি৭, বি৯,বি১২।
এগুলো সবই ‘বি’ ভিটামিনের মধ্যে
পড়ে। মানবদেহের অত্যন্ত জরুরী কিছু
ফাংশন নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন ‘বি’
গুরুত্বপূর্ণ। দেহের অত্যাবশ্যকীয়
উপাদান এই বি ভিটামিন।
প্রতিদিনই আমাদের এই ভিটামিন
‘বি’ এর প্রয়োজন। যা আমরা পেয়ে
থাকি আমাদের খাদ্য তালিকার
বিভিন্ন খাবার থেকে।
এবার আমরা বিভিন্ন ভিটামিনের
উৎস ও প্রয়োজন সমন্ধে আলোচনা
করবো-
ভিটামিন বি১(থায়ামিন)
ভিটামিন বি১ পেশী স্নায়ুকে
শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা
রাখে। নিউরোপ্যাথিক পেইন
তৈরি হবার কারণ গুলোর মধ্যে
ভিটামিন বি১ এর ঘাটতি অন্যতম।
উৎসঃ সব ধরনের খাদ্য শস্যে
ভিটামিন বি১ পাওয়া যায়।
এছাড়া ডিমেও ভিটামিন বি১
আছে।
ভিটামিন বি২(রিবোফ্লাভিন)
ত্বক সুস্থ্য রাখতে, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্র
ভাল রাখতে ভিটামিন বি২ কাজ
করে। ভিটামিন বি২ এর অভাবে
মুখে এক ধরনের ক্ষত এর সৃষ্টি হয়।
উৎসঃ দুগ্ধজাত খাবার, চাল ও
ডিমে বি২ আছে।
ভিটামিন বি৩ (নিয়ামিনামাইড)
কাজঃ
»» হজমে সাহায্য করে।
»» স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাঁড়ায়।
»» এর ঘাটতি ডায়রিয়ার সৃষ্টি করে।
ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। বি৩ এর
অভাবে পেলাগ্রা নামক অপুষ্টি
রোগ হতে পারে। এতে ত্বকে চিড়
ধরে এবং মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে।
ভিটামিন বি৫ (পেনটোথেনিক
এসিড)
► শিশুদের স্বাভাবিক বেড়ে উঠা
এবং দেহের সঠিক গঠনে সাহায্য
করে।
উৎসঃ গোল আলু, ডিম, টমেটো।
বি৬ (পাইরিডক্সিন)
হোমোসিসটিন এর মাত্রা কমাতে
পারে। যা ক্ষতিকর এক ধরনের
অ্যামাইনো এসিড। এবং এটি হৃদ
রোগের অন্যতম কারণ।
উৎসঃ মাছ, লিভার ও গোল আলু।
বি৭ (বায়োটিন)
শরীরের নানা শারীরবৃত্তীয়
কাজে হরমোন অত্যাবশ্যকীয়
উপাদান। এই হরমোন সৃষ্টিতে
সহায়তা করে বি৭ বা বায়োটিন।
উৎসঃ চীনাবাদাম, লিভার, কলা।
বি১২ (মিকোবালামিন)
হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ও ডি এন
এ সিন্থেসিস এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উৎসঃ গোশত, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত
যে কোন খাবার।
ভিটামিন ‘সি’
ভিটামিন ‘সি’
এটি ওয়াটার সলুবল ভিটামিন। যা
খুব দ্রুত শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়।
প্রয়োজনীয়তাঃ
১) ফলাজেন নামক প্রোটিন তৈরি
করে, যা ক্ষত সারিয়ে তুলতে কাজ
করে।
২) দাঁতের মাড়ির রক্ত ঝরার
প্রবণতা কমাতে পারে।
৩) ঠাণ্ডার প্রকোপ কমায়।
৪) ক্যান্সার সারিয়ে তুলতে
ভিটামিন সি এর ভূমিকা রয়েছে।
৫) শরীরে ‘ফ্রি রেডিকেল’ এর
পরিমাণ কমায়।
ভিটামিন ‘ই’
ভিটামিন ‘ই’
১) রক্ত জমাট বাঁধা ঠেকায়।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩) অ্যান্টি অক্সিডেনট হিসেবে
কাজ করে।
৪) এর ঘাটতি হলে পেশী দুর্বল হয়ে
পরে। দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে
পারে।
৫) ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য
করে।
বিঃদ্রঃ- যেহেতু এটি ফ্যাট সলুবল
ভিটামিন। তাই প্রয়োজন ছাড়া
সেবন করবেন না। কেননা, মাত্রা
বেশী হলে মুত্র থলির ক্যান্সারের
কারণ হতে পারে।
উৎসঃ
১) অন্যতম হচ্ছে ভেজিটেবল অয়েল।
২) বাদাম, বীজ।
৩) সবুজ শাকসবজি।

রবিবার, ১০ মে, ২০১৫

মুখের দুর্গন্ধ ও মাড়ি দিয়ে রক্তপড়ার কারণ ও প্রতিকারদি অাতাতূর্ক টাইম ডেস্ক ॥

মুখের দুর্গন্ধ ও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া
আমাদের একটি বড় সমস্যা। এসব
সমস্যার কারণ জানা থাকলে তা
প্রতিকার করাও সম্ভব। এ বিষয়েই
আজকের আলোচনা।
আমরা দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন
প্রকার রোগে ভুগে থাকি।
দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ও
মুখের দুর্গন্ধযুক্ত ব্যক্তি হয়তো অনুভব
করতে পারেন না তার কথা বলার
সময় আমরা যারা তার কথা
শোনেন তারা ততটায় বিরক্ত
বোধ করে থাকি। বাধ্য হয়ে তার
কথা শুনে থাকি। কিন্তু মুখ
ফিরিয়ে রাখতে হয় অন্যদিকে।
মুখে দুর্গন্ধযুক্ত ব্যক্তি ভুগতে
পারেন হীনমন্যতায়।
মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার বিভিন্ন কারণ
রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো: