![]() |
Advertisement |
ভিটামিন ‘এ’
লিভার ও যকৃত খেলে রাতকানা
রোগ সারে। এটা খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০
অব্দের প্রাচীন মিশরীয় কথা।
আসলে লিভার ও যকৃতে থাকে
ভিটামিন ‘এ’ যা কয়েকটি
ভিটামিনের সমষ্টি। ভিটামিন ‘এ’
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ও দেহের গঠনে
কাজ করে। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে
বাচ্চাদের রাতকানা অথবা অন্ধত্ব
দেখা দিতে পারে।
কোথায় পাবেন ভিটামিন ‘এ’ ?
ক) দুগ্ধজাত খাবারে।
খ) মাছ ও ডিমে।
গ) অরেঞ্জ চিগিমেনট বেটা
ক্যারোটিন জাতীয়
প্রোভিটামিন শরীরে ভিটামিন
‘এ’ তে পরিবর্তিত হতে পারে।
লিভার ও যকৃত খেলে রাতকানা
রোগ সারে। এটা খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০
অব্দের প্রাচীন মিশরীয় কথা।
আসলে লিভার ও যকৃতে থাকে
ভিটামিন ‘এ’ যা কয়েকটি
ভিটামিনের সমষ্টি। ভিটামিন ‘এ’
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে ও দেহের গঠনে
কাজ করে। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে
বাচ্চাদের রাতকানা অথবা অন্ধত্ব
দেখা দিতে পারে।

ক) দুগ্ধজাত খাবারে।
খ) মাছ ও ডিমে।
গ) অরেঞ্জ চিগিমেনট বেটা
ক্যারোটিন জাতীয়
প্রোভিটামিন শরীরে ভিটামিন
‘এ’ তে পরিবর্তিত হতে পারে।
ঘ) গাজর ।
ভিটামিন ‘বি’
ভিটামিন ‘বি’
ভিটামিন ‘বি’ আসলে অনেক গুলো
‘বি’ ভিটামিনের সমন্বয়, যাকে
আমরা ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স
বলতে পারি। ‘বি’ গুলো হচ্ছে বি১,
বি২, বি৩,বি৪, বি৬, বি৭, বি৯,বি১২।
এগুলো সবই ‘বি’ ভিটামিনের মধ্যে
পড়ে। মানবদেহের অত্যন্ত জরুরী কিছু
ফাংশন নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন ‘বি’
গুরুত্বপূর্ণ। দেহের অত্যাবশ্যকীয়
উপাদান এই বি ভিটামিন।
প্রতিদিনই আমাদের এই ভিটামিন
‘বি’ এর প্রয়োজন। যা আমরা পেয়ে
থাকি আমাদের খাদ্য তালিকার
বিভিন্ন খাবার থেকে।
এবার আমরা বিভিন্ন ভিটামিনের
উৎস ও প্রয়োজন সমন্ধে আলোচনা
করবো-
ভিটামিন বি১(থায়ামিন)
ভিটামিন বি১ পেশী স্নায়ুকে
শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা
রাখে। নিউরোপ্যাথিক পেইন
তৈরি হবার কারণ গুলোর মধ্যে
ভিটামিন বি১ এর ঘাটতি অন্যতম।
উৎসঃ সব ধরনের খাদ্য শস্যে
ভিটামিন বি১ পাওয়া যায়।
এছাড়া ডিমেও ভিটামিন বি১
আছে।
ভিটামিন বি২(রিবোফ্লাভিন)
ত্বক সুস্থ্য রাখতে, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্র
ভাল রাখতে ভিটামিন বি২ কাজ
করে। ভিটামিন বি২ এর অভাবে
মুখে এক ধরনের ক্ষত এর সৃষ্টি হয়।
উৎসঃ দুগ্ধজাত খাবার, চাল ও
ডিমে বি২ আছে।
ভিটামিন বি৩ (নিয়ামিনামাইড)
কাজঃ
»» হজমে সাহায্য করে।
»» স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাঁড়ায়।
»» এর ঘাটতি ডায়রিয়ার সৃষ্টি করে।
ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। বি৩ এর
অভাবে পেলাগ্রা নামক অপুষ্টি
রোগ হতে পারে। এতে ত্বকে চিড়
ধরে এবং মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে।
ভিটামিন বি৫ (পেনটোথেনিক
এসিড)
► শিশুদের স্বাভাবিক বেড়ে উঠা
এবং দেহের সঠিক গঠনে সাহায্য
করে।
উৎসঃ গোল আলু, ডিম, টমেটো।
বি৬ (পাইরিডক্সিন)
হোমোসিসটিন এর মাত্রা কমাতে
পারে। যা ক্ষতিকর এক ধরনের
অ্যামাইনো এসিড। এবং এটি হৃদ
রোগের অন্যতম কারণ।
উৎসঃ মাছ, লিভার ও গোল আলু।
বি৭ (বায়োটিন)
শরীরের নানা শারীরবৃত্তীয়
কাজে হরমোন অত্যাবশ্যকীয়
উপাদান। এই হরমোন সৃষ্টিতে
সহায়তা করে বি৭ বা বায়োটিন।
উৎসঃ চীনাবাদাম, লিভার, কলা।
বি১২ (মিকোবালামিন)
হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ও ডি এন
এ সিন্থেসিস এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উৎসঃ গোশত, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত
যে কোন খাবার।
ভিটামিন ‘সি’
ভিটামিন ‘সি’
এটি ওয়াটার সলুবল ভিটামিন। যা
খুব দ্রুত শরীর থেকে বেড়িয়ে যায়।
প্রয়োজনীয়তাঃ
১) ফলাজেন নামক প্রোটিন তৈরি
করে, যা ক্ষত সারিয়ে তুলতে কাজ
করে।
২) দাঁতের মাড়ির রক্ত ঝরার
প্রবণতা কমাতে পারে।
৩) ঠাণ্ডার প্রকোপ কমায়।
৪) ক্যান্সার সারিয়ে তুলতে
ভিটামিন সি এর ভূমিকা রয়েছে।
৫) শরীরে ‘ফ্রি রেডিকেল’ এর
পরিমাণ কমায়।
ভিটামিন ‘ই’
ভিটামিন ‘ই’
১) রক্ত জমাট বাঁধা ঠেকায়।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩) অ্যান্টি অক্সিডেনট হিসেবে
কাজ করে।
৪) এর ঘাটতি হলে পেশী দুর্বল হয়ে
পরে। দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে
পারে।
৫) ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য
করে।
বিঃদ্রঃ- যেহেতু এটি ফ্যাট সলুবল
ভিটামিন। তাই প্রয়োজন ছাড়া
সেবন করবেন না। কেননা, মাত্রা
বেশী হলে মুত্র থলির ক্যান্সারের
কারণ হতে পারে।
উৎসঃ
১) অন্যতম হচ্ছে ভেজিটেবল অয়েল।
২) বাদাম, বীজ।
৩) সবুজ শাকসবজি।
0 Comment:
আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখককে ভালো কিছু লিখার অনুপ্ররেনা যোগাই তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না । তবে বন্ধুরা এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করবেন না যার ফলে লেখকের মনে আঘাত হানে ! কারণ একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপ্ররেনা জাগাই !!