![]() |
Advertisement |
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান আর
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়—
কোচ হিসেবে চন্ডিকা
হাথুরুসিংহের প্রাপ্তির
খাতাটা ভারীই হচ্ছে। তাঁর
দৃষ্টিতে সময়টা বাংলাদেশের
ক্রিকেটের জন্যও রোমাঞ্চকর,
ক্রিকেটারদের জন্য উপভোগের।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে
সিরিজটা যে সাম্প্রতিক সময়ে
বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে
কঠিন, সেটা মানছেন শ্রীলঙ্কান
এই কোচ। মিরপুরে কাল
অনুশীলনের পর হওয়া কোচের
সংবাদ সম্মেলনের প্রায়
পুরোটাই তুলে ধরা হলো
এখানে—
ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়—
কোচ হিসেবে চন্ডিকা
হাথুরুসিংহের প্রাপ্তির
খাতাটা ভারীই হচ্ছে। তাঁর
দৃষ্টিতে সময়টা বাংলাদেশের
ক্রিকেটের জন্যও রোমাঞ্চকর,
ক্রিকেটারদের জন্য উপভোগের।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে
সিরিজটা যে সাম্প্রতিক সময়ে
বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে
কঠিন, সেটা মানছেন শ্রীলঙ্কান
এই কোচ। মিরপুরে কাল
অনুশীলনের পর হওয়া কোচের
সংবাদ সম্মেলনের প্রায়
পুরোটাই তুলে ধরা হলো
এখানে—
* দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-
টোয়েন্টি সিরিজ
বিশ্বকাপেরও প্রস্তুতি—
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে: মাথায়
বিশ্বকাপটা ভালোভাবেই
থাকার কথা। আমরা আমাদের
কম্বিনেশন ও গেম প্ল্যান নিয়ে
ভাবছি, কোনটা আমাদের জন্য
কার্যকর মনে হয়...। এই সিরিজে
আমাদের দৃষ্টি মূলত ওই দিকেই
থাকবে।
* সর্বশেষ দুটি ওয়ানডে সিরিজ
জয়ের রোমাঞ্চ—
হাথুরুসিংহে : আমার মনে হয়,
সময়টা বাংলাদেশের
ক্রিকেটের জন্যই রোমাঞ্চকর।
জেতার মধ্যে থাকা সব সময়ই
ভালো। তবে আমরা যেভাবে
খেলছি আর যেভাবে জিতছি,
সেটাই বেশি রোমাঞ্চকর।
* দলের তরুণ খেলোয়াড়দের
প্রতি কোনো পরামর্শ—
হাথুরুসিংহে: তারা তাদের পা
মাটিতেই রাখছে। সাফল্যটা
উপভোগ করা উচিত তাদের।
কেউ কেউ তো এমন কিছু করেছে
যেটা আগে কেউ করেনি।
তাদের তাই খেলাটা উপভোগ
করা উচিত এবং আত্মবিশ্বাসী
থাকা উচিত।
* মুশফিকুর রহিমের উইকেটকিপিং
করার সম্ভাবনা—
হাথুরুসিংহে: মুশফিক
উইকেটকিপিংয়ের জন্য
আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠলে
আমাদের টিম কম্বিনেশন নিয়ে
ভাবার সুযোগ বেড়ে যাবে।
আমরা তাকে কিপিংয়ে
ফিরতে সুযোগ দেওয়ার
অপেক্ষায় আছি। এখন শুধু তাকে
আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে।
অনুশীলনে কিপিং করা শুরু
করেছে ও। তবে পুরো
ব্যাপারটাই নির্ভর করছে তার
আঙুলের অবস্থার ওপর।
* প্রতিপক্ষ হিসেবে দক্ষিণ
আফ্রিকা—
হাথুরুসিংহে: অনেক দিন ধরেই সব
ধরনের ক্রিকেটে দক্ষিণ
আফ্রিকা খুব ভালো দল। গত
কয়েক বছর ধরেই
ধারাবাহিকভাবে ভালো
খেলছে তারা। আমি মনে করি এই
সিরিজে তারাই ফেবারিট।
কথাটা আমি এর আগে কখনো
বলিনি। এবার বললাম, কারণ দলটা
খু্বই শক্তিশালী।
* দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের
নিয়ে পরিকল্পনা—
হাথুরুসিংহে: তারা কতটা
জোরে বল করবে সেটা তো
আমাদের হাতে নেই, তাই না?
আমরা এবারও অন্য সিরিজের
মতোই প্রস্ততি নিচ্ছি।
বিশ্বকাপে কন্ডিশন আর গতিময়
উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে
নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল
আমাদের। অনুশীলনের ধরন সেই
থেকে খুব একটা বদলায়নি।
* বাংলাদেশ দলের
বোলিংয়ে স্পিন না পেস
নির্ভরতা—
হাথুরুসিংহে: স্পিন, পেস
দুটোতেই ভারসাম্য আছে
আমাদের। এমনিতে স্পিনারদের
দল হিসেবে পরিচিত
বাংলাদেশ। এখনো সেটাই
আছে। আমাদের হাতে হয়তো
অনেক বেশি ফাস্ট বোলার
নেই, তবে যারাই আছে তারা
বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আনছে।
কেউ লম্বা, কারও বলে বৈচিত্র্য
আছে, কেউ সু্ইং করাতে পারে।
আমরা যেকোনো সময় যে
কোনোটা করতে পারি, এটাই
আমাদের সুবিধা।
* দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে
বাংলাদেশ দলের ইতিহাস—
হাথুরুসিংহে: ইতিহাসে
বিশ্বাস করলে আমি হয়তো আজ
এখানে থাকতেই পারতাম না।
আমি ইতিহাসে বিশ্বাস করি
না। ইতিহাস বদলানোর জন্যই।
আমরা কীভাবে আমাদের
কাজগুলো করব, সেটাই আসল
কথা। আমরা ইতিহাসের অংশ নই।
আমরা বর্তমান এবং এখন যা করছি
তার অংশ। আমি
খেলোয়াড়দের প্রতিনিয়তই
বলে যাচ্ছি তারা আসলে কতটা
ভালো খেলে এবং তাদের
পক্ষে কী করা সম্ভব।
* ডি ভিলিয়ার্স-মিলারদের
ঠেকানোর পরিকল্পনা-
হাথুরুসিংহে: এবিকে আমরা বল
করব আর প্রার্থনা করে যাব সে
যেন দ্রুত আউট হয়ে যায় (হাসি)।
সে বিশ্বের অন্যতম সেরা
খেলোয়াড়। তাকে নিয়ে খুব
বেশি পরিকল্পনা করা সম্ভব নয়।
আমাদের সেরা বোলিংটা
করে যেতে হবে। সেও তো
মানুষ, অন্তত আমরা তাই মনে
করি...।
* টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে, না
টেস্ট—দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে
কোন সংস্করণের ক্রিকেটে
বাংলাদেশের আশা বেশি—
হাথুরুসিংহে: সব ধরনের
ক্রিকেটেই তারা শক্তিশালী।
আমার মনে হয় না কোনো
একটা সংস্করণেও আমরা এগিয়ে
আছি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটটা
এই মুহূর্তে যে রকম খেলছি, তাতে
আমরা আত্মবিশ্বাসী। খুবই
ভালো দল আমরা।
* নতুন কোনো চমক—
হাথুরুসিংহে: (হাসি)
প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে তো
দেখছি প্রতি সিরিজেই বিস্ময়
উপহার দিতে হবে! এই সিরিজে
আমরা আমাদের শক্তি অনুযায়ীই
খেলব।
* টেস্ট সিরিজ নিয়ে পরিকল্পনা
—
হাথুরুসিংহে : টেস্টে আমরা
অনেক স্বাধীনতা পাব। কারণ,
টেস্ট সিরিজটা আমরা খেলব
ওয়ানডে সিরিজেরও পর। এরপর
আমাদের অস্ট্রেলিয়ার
বিপক্ষেও টেস্ট আছে। হাতে
যেসব খেলোয়াড় পাব তাদের
নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়ার
পরিকল্পনা করতে হবে।
* সোহাগ গাজীর প্রত্যাবর্তন
প্রসঙ্গে—
হাথুরুসিংহে: বেশ কয়েক মাস
ধরেই ও নতুন বোলিং অ্যাকশনে
বল করছে। নির্বাচকেরা তাকে
ম্যাচে বল করতে দেখেছেন,
কাজেই আমরাও আশা করছি নতুন
অ্যাকশনটা আগের মতোই কার্যকর
হবে। আমাদের আক্রমণাত্মক হয়ে
ওঠার সুযোগ আরেকটু বাড়িয়ে
দিচ্ছে সে।
0 Comment:
আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখককে ভালো কিছু লিখার অনুপ্ররেনা যোগাই তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না । তবে বন্ধুরা এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করবেন না যার ফলে লেখকের মনে আঘাত হানে ! কারণ একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপ্ররেনা জাগাই !!