Advertisement |
রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে
বার্সেলোনা হেরেছে ১-০
গোলে। কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে
বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে
লিওনেল মেসি। ক্লাবের
স্পোর্টিং ডিরেক্টরের পদ থেকে
পদত্যাগ করেছে জুবিজারেতা। সব
মিলিয়ে একটা গুমোট পরিবেশ
বার্সেলোনার অন্দরে। লা লিগা,
চ্যাম্পিয়নস লিগ—এসব স্বপ্ন বাদ
দিয়ে পুরো ক্লাবের ব্যবস্থাপনা
তখন ব্যস্ত নানামুখী সমস্যার
সমাধানে। ঠিক সেই সময়ই ক্লাবের
ত্রাণকর্তা হয়েই যেন আবির্ভূত
হয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ।
বার্সেলোনা হেরেছে ১-০
গোলে। কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে
বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে
লিওনেল মেসি। ক্লাবের
স্পোর্টিং ডিরেক্টরের পদ থেকে
পদত্যাগ করেছে জুবিজারেতা। সব
মিলিয়ে একটা গুমোট পরিবেশ
বার্সেলোনার অন্দরে। লা লিগা,
চ্যাম্পিয়নস লিগ—এসব স্বপ্ন বাদ
দিয়ে পুরো ক্লাবের ব্যবস্থাপনা
তখন ব্যস্ত নানামুখী সমস্যার
সমাধানে। ঠিক সেই সময়ই ক্লাবের
ত্রাণকর্তা হয়েই যেন আবির্ভূত
হয়েছিলেন জাভি হার্নান্দেজ।
সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচের
পর সাংবাদিকেরা তখন প্রস্তুত
হচ্ছেন মেসিকে ধুয়ে দিতে। সেই
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত
হয়ে জাভি বলেছিলেন, মেসিকে
নিয়ে কথা-বার্তা বন্ধ করতে।
তাঁকে তাঁর মতো খেলার
স্বাধীনতা দিতে। তিনি দারুণ
একটি মন্তব্য করে সম্মেলন কক্ষে এনে
দিয়েছিলেন পিন-পতন নীরবতা,
‘আপনারা কী চান, এ বছরের ব্যালন
ডি অ’রটাও রোনালদোর বাড়ি
যাক? দয়া করে মেসির সমালোচনা
বন্ধ করুন। যদি মেসিকে তাঁর মতো
করেই দেখতে চান।’
এই কয়েকটা কথাতেই পাল্টে গেল
পুরো দৃশ্যপট। বার্সেলোনার খেলাও
যেন ভোজবাজির মতো বদলে গেল।
অসাধারণ নৈপুণ্যে একের পর এক
প্রতিপক্ষকে বধ করে দলটি এখন
স্প্যানিশ লিগ বিজয়ী। পৌঁছে
গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের
ফাইনালে। কোপা ডেল রে’এর
শিরোপাটাও চোখের সামনেই
দেখছে তারা। স্বপ্নের ট্রেবল এখন
আর অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয় লুইস
এনরিকের শিষ্যদের কাছে।
সোসিয়েদাদের বিপক্ষে
পরাজয়ের ওই সময়টায় কোচ এনরিকে
আর মেসির ব্যক্তিত্বের সংঘাত
পৌঁছে গিয়েছিল চরমে। জাভি
নাকি একজন সিনিয়র খেলোয়াড়
হিসেবে এই দুই পক্ষের চার হাত
মিলিয়ে দিয়েছিলেন।
ব্যাপারটা সহজ ছিল না। কিন্তু
জাভির ব্যক্তিত্বের কাছে হার
মেনেছিলেন বিবদমান এনরিকে-
মেসি দুজনই।
দুজনকে কী বলেছিলেন জাভি?
এনরিকের কাছে গিয়ে
বলেছিলেন, ‘মেসি সব সময়ই বিশেষ
এক খেলোয়াড়। তাঁর প্রতি আপনার
আচরণও হওয়া উচিত বিশেষ। আপনি
তো দলের নেতা। আপনিই না হয় একটু
নমনীয় হন। দল সাফল্য পেলে কিন্তু
তা আপনার সাফল্যই। কিন্তু আপনি
যদি তাঁর আচরণকে ক্ষমাসুন্দর
দৃষ্টিতে না দেখেন, তাহলে কিছুই
হবে না। মেসিকে জরিমানা করে
কিংবা প্রথম একাদশ থেকে বাদ
দিয়ে কিছুই হবে না।’
মেসির সঙ্গেও কথা বলেছিলেন
জাভি। আর্জেন্টাইন তারকার প্রতি
তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সেই শুরুর দিন
গুলোর মতোই। যখন আর্জেন্টিনা
থেকে লা মেসিয়ায় আসা
মেসিকে বড় ভাইয়ের মতো আগলে
রাখতেন জাভি। এনরিকের সঙ্গে
মেসির ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব নিয়ে
তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি বসে একটি
কথাই বলেছিলেন জাভি, ‘দেখো।
আমি তোমার সঙ্গে কথা বলছি
দলের একজন সিনিয়র হিসেবে। তুমি
কোচের সঙ্গে যা করছ, সেটা
কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়।
হতে পারে তুমি ঠিক, কিন্তু সেটা
প্রকাশের ভঙ্গি এমন হওয়া উচিত নয়।
খেলোয়াড় হিসেবে কোচের
সিদ্ধান্তটা তোমাকে মেনে
নিতে হবে। মনে রেখো কোচ
হিসেবে তিনি যেকোনো কিছু
করারই ক্ষমতাপ্রাপ্ত। দলের স্বার্থে
দয়া করে এসব ভুলে যাও। কোচের
কাছে নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা
চাও। উনি তোমাকে কাছে টেনে
নেবেনই।’ সূত্র: নিউজটক ডটকম।
0 Comment:
আপনার একটি মন্তব্য একজন লেখককে ভালো কিছু লিখার অনুপ্ররেনা যোগাই তাই প্রতিটি পোস্ট পড়ার পর নিজের মতামত জানাতে ভুলবেন না । তবে বন্ধুরা এমন কোন মন্তব্য পোস্ট করবেন না যার ফলে লেখকের মনে আঘাত হানে ! কারণ একটা ভাল মন্তব্য আমাদের আরও ভাল কিছু লিখার অনুপ্ররেনা জাগাই !!